দেশে বিটকয়েনের ব্যবহার বেড়েই চলছে

0
218
HTML tutorial

গত কিছুদিনে রাতারাতি বহুগুণে ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েনের মূল্য বেড়েছে। মার্কিন বিলিওনিয়ার এলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলা দেড়’শ কোটি ডলার এই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই বাড়তে শুরু করেছে এই মুদ্রার দাম। বর্তমানে একটি বিটকয়েনের মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪০ লাখ টাকা। বাংলাদেশে বিটকয়েন খুব সীমিত আকারে কেনাবেচার কথা জানা যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে দেশের আইন অনুযায়ী বিটকয়েন বা কোনো প্রকার ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয়-বিক্রয় বা সংরক্ষণ বেআইনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, বিটকয়েন ব্যবহারের কোনো অনুমতি নেই বাংলাদেশ। অনুমোদন না থাকায় এ জাতীয় সকল লেনদেন অবৈধ।

২০১৭ সালে বিটকয়েনে লেনদেনের বিষয়ে সতর্কতা জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোনো দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ ভার্চুয়াল মুদ্রা ইস্যু না করায় এর বিপরীতে কোনো আর্থিক দাবির কোনো স্বীকৃতি নেই। ভার্চুয়াল লেনদেনের মাধ্যমে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং মানি লন্ডারিং আইন লঙ্ঘন হতে পারে বলেও সতর্ক করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক আরও উল্লেখ করে যে, এ প্রকার লেনদেন দ্বারা আর্থিক এবং আইনগত ঝুঁকি রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আরও জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বিটকয়েনের বিষয়ে এখনো কোনো পরিকল্পনা নেই বাংলাদেশ ব্যাংকের। তবে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট আইন নেই দেশে। এ বিষয়ে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় পদক্ষেপ নেয়া হয়ে থাকে।

এদিকে ড. আহমেদ জানিয়েছেন, পৃথিবীতে ক্রমেই এই মুদ্রা যেহেতু জনপ্রিয় হচ্ছে তাই এটাকে একদম অস্বীকার করার উপায় নেই। পুরোপুরি বন্ধ না করে এ বিষয়ে গবেষণা করা উচিত বাংলাদেশ ব্যাংকের। এ জন্য প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা করা, যৌক্তিকতা-অযৌক্তিকতা যাচাই করা উচিত। বিটকয়েন কোথায় যাচ্ছে এ দিকে নজর রাখা উচিত। যদি ভবিষ্যতে বিটকয়েন দ্বারা লেনদেন করতে হয় তখন সমস্যা হবে না।

HTML tutorial

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here