ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় উঠে এসেছে বস্ত্র খাতের ২ কোম্পানি। বস্ত্র খাতের বি ক্যাটাগরীর আলোচিত দুই কোম্পানি। কোম্পানি দুটি হলো: মেট্রো স্পিনিং এবং আনলিমা ইয়ার্ণ। আলোচিত এই দুই কোম্পানির শেয়ার দর দীর্ঘ বিরতির পর ফের হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় প্রশ্ন জেগেছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। শেয়ার দরের এমন উত্থানে কোম্পানি দুটির শেয়ার নিয়ে নিয়ে বাজারে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। কোম্পানি দুটির প্রাসঙ্গিক তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
মেট্রো স্পিনিং: বস্ত্র খাতের কোম্পানি মেট্রো স্পিনিং গত এক সপ্তাহে শেয়ার দর বেড়েছে ৩ টাকা ৮০ পয়সা বা ১৮.১৮ শতাংশ। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২০ টাকা ১০ পয়সা বা ২৭১ শতাংশ। এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার সর্বনিন্ম দর ছিল ৭ টাকা ৪০ পয়সা এবং সর্বোচ্চ ২৭ টাকা ৫০ পয়সা। সর্বশেষ নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬২ পয়সা।
আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিলো ১৭ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য অবস্থান করছে ১৫ টাকা ৭২ পয়সা। সর্বশেষ কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০২০ এবং ২০১৯ সালে ২ শতাংশ করে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। অর্থাৎ গত বছর কোম্পানিটির ডিভিডেন্ডের কোন উন্নতি হয়নি। কোম্পানিটির বর্তমানে রিজার্ভ রয়েছে ২৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ৬১ কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৬ কোটি ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ২৭৫ টাকা। কোম্পানিটির শেয়ার বর্তমানে স্পন্সরদের কাছে রয়েছে ৩০.০৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৮.২৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫১.৬৬ শতাংশ।
আনলিমা ইয়ার্ণ: বস্ত্র খাতের কোম্পানি আনলিমা ইয়ার্ণ গত এক সপ্তাহে শেয়ার দর বেড়েছে ৭ টাকা ৪০ পয়সা বা ১৭.৪১ শতাংশ। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২১ টাকা ৩০ পয়সা বা ৭১ শতাংশ। এক বছর কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল সর্বনিন্ম ২৯ টাকা ৯০ পয়সা এবং সর্বোচ্চ ৫১ টাকা ২০ পয়সা। সর্বশেষ নয় মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২২ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিলো ১১ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য অবস্থান করছে ১১ টাকা ৪৮ পয়সা।
সর্বশেষ কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীদের জন্য ২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় গত বছর কোম্পানিটির ডিভিডেন্ড কমেছে। কোম্পানিটির বর্তমানে রিজার্ভ রয়েছে ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০ কোটি টাকা। আর পরিশোধিত মূলধন ১৭ কোটি ৮৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৮০০ টাকা। কোম্পানিটির শেয়ার বর্তমানে স্পন্সরদের কাছে রয়েছে ৪৭.২২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৯.৮৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৩.৮৯ শতাংশ।