পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে ব্যাংকের শেয়ারের পাশাপাশি লেনদেনের শেষ দেড় ঘণ্টায় কমেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিমা কোম্পানির শেয়ারের দাম। ফলে সপ্তাহের পঞ্চম ও শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন শেষ হয়েছে।
এছাড়া বস্ত্র, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের শেয়ারের দামও কমেছে। আর তাতে বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ২৭ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১২৪ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ফলে চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন দিন টানা (রোব থেকে মঙ্গলবার) উত্থানের পর বুধ ও বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে দরপতন হলো।
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রফিট টেকিংয়ের কারণে বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরু থেকেই পুঁজিবাজারে শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল অনেক বেশি। এ দিন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি কিছু বড় ব্যক্তি বিনিয়োগকারীর শেয়ার বিক্রিকে কেন্দ্র করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা শুরু হয়। এরপর শেষ বিকেলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও শেয়ার বিক্রি শুরু করেন। ফলে অস্থিরতার মাধ্যমে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
ডিএসইর তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে মোট ৩৭৬টি প্রতিষ্ঠানের ৭১ কোটি ৯ লাখ ৩৯ হাজার শেয়ার হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে ১০৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির। ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২২৭ কোটি ৬৪ লাখ ৩ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫৭০ কোটি ৬৭ লাখ ৭ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা কমেছে।
বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় এ দিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২৭ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৮৫১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৮৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৪৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এ দিন ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক লিমিটেড। দ্বিতীয় স্থানে ছিল লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড। এরপর সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিউক্যালসের শেয়ার। এরপর যথাক্রমে ছিল- বেক্সিমকো, আইপিডিসি, লাফার্জ-হোলসিম, সাইফ পাওয়ার, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স, ইসলামিক ফাইন্যান্স এবং পাওয়ার গ্রীড লিমিটেড।
এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৪ পয়েন্ট কমে ১৯ হাজার ৯৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮০টির শেয়ারের দাম বেড়েছে। কমেছে ২২২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ৮৫ কোটি ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৭৩ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১০০ কোটি ২২ লাখ ১১ হাজার ৭৬৪ টাকা।