চাঙা পুঁজিবাজারে ভাল-মন্দ সব কোম্পানির শেয়ারের দামই তরতর করে বাড়ছে। এর মধ্যে স্বল্প মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি যেন স্বাভাবিকতাকে কিছুটা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। গত কয়েক মাসে অনেক স্বল্পমূলধনী কোম্পানির শেয়ারের মূল্য বেড়ে কয়েকগুণ হয়ে যায়। তবে এক সপ্তাহে এসব কোম্পানির শেয়ারে ব্যাপক মূল্য সংশোধন হয়েছে।
অন্যদিকে বড় মূলধনী কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। একাধিক বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দাম সার্কিটব্রেকার স্পর্শ করেছে। এ অবস্থায় টেকনিক্যাল অ্যানালিসিসের কিছু ইন্ডিকেটর বাজারের গতি ফের স্বল্প মূলধনী কোম্পানির দিকে মোড় নেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এছাড়া ব্যাংক ব্যতিত অন্য বড় কোম্পানিগুলোর তুলনায় কিছু স্বল্পমূলধনী কোম্পানির, বিশেষ করে বীমা খাতের কোম্পানির শেয়ারের পিই রেশিও বা মূল্য-আয় অনুপাতও বড় কোম্পানিগুলোর চেয়ে কম। (অনেক ছোট কোম্পানির প্রদর্শিত আয়ের ধারাবাহিকতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ)টেকনিক্যাল অ্যানালিসিসে আরএসআই (The relative strength index-RSI) একটি জনপ্রিয় ইন্ডিকেটর। এটির মান ১০০।
যদি কোনো কোম্পানির আরএসআই ৩০ এর নিচে নেমে আসে তাহলে ধরে নেওয়া হয়, ওই কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপ শেষ। তাতে শেয়ারের দাম বাড়তে পারে। অন্যদিকে আরএসআই ৭০ এর কাছাকাছি এলে বা অতিক্রম করার বিষয়টি ইঙ্গিত দেয়, ওই কোম্পানির শেয়ার কেনার চাপ কম। চাহিদা কমে এলে স্বাভাবিকভাবেই দামও কমে আসে। যদিও সবসময় এই ইন্ডিকেটর শতভাগ নির্ভরযোগ্য ইঙ্গিত দেয় না। কারণ বাজারের অন্যান্য অনেক ফ্যাক্টর পরিস্থিতিকে বদলে ফেলতে পারে।
গতকাল বুধবারের বাজারচিত্র অনুসারে, প্রায় সব বড় মূলধনী কোম্পানির আরএসই ৭০ এর উপরে অবস্থান করছে। গতকাল ওরিয়ন ফার্মার আরএসআই ছিল ৮৭, বেক্সিমকো লিমিটেডের আরএসআই ছিল ৮১, জিপিএইচ ইস্পাতের ৮৪, ইফাদ অটোর ৮১, একমি ল্যাবরেটরিজের ৭৮, পাওয়ারগ্রিডের ৭৬, বিএটিবিসির ৭৪, বীকন ফার্মার ৭৪, বেক্সিমকো ফার্মার ৭৩।
অন্যদিকে বীমা খাতে ১৭টি কোম্পানির আরএসআই ৩০ এর নিচে। এগুলোর মধ্যে অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের আরএসআই ২৮, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ২৯, সিটি জেনারেলের ২৮, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ২৭, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ২৮, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ২৭, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ২৬, ফেডারেল ২৮, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ২০, ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ২৮, মার্কেন্টাইলের ২৮, নর্দার্ন ইসলামীর ২৪, প্যারামাউন্টের ২৭, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ২৪, রিলায়েন্সের ২৬, রিপাবলিকের ২৫, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের ২৯।