আট কোম্পানির লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত

0
187
HTML tutorial

শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত আটটি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে চমক দেখিছে ওটিসি ফেরত মুন্নু ফেব্রেক্সি। ওটিসি থেকে ফেরার পর শেয়ার নিয়ে টানা-হেছড়া করলো হতাশ করছে বিনিয়োগকারীদের।

মুন্নু ফেব্রিক্স

দীর্ঘদিন ওটিসি থাকার পর চলতি বছরে মূল মার্কেটে আসে মুন্নু ফেব্রিক্স। আসার পর থেকেই শেয়ার নিয়ে চলে টানাহেচড়া। এক পর্যায়ে জুন মাসের ৩০ তারিখ সর্বোচ্চ ৩৩ টাকা ৯০ পয়সা উঠে কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দর। এর পর আবার কমতে শুরু করে। ২৮ অক্টোবর এটির লেনদেন হয় ২৫ টাকা ৪০ পয়সায়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬ পয়সা। আগের বছর আয় ছিল ১১ পয়সা। তবে কোম্পানিটির পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জাহিন টেক্স: বস্ত্র খাতের কোম্পানি টানা তৃতীয় বছরের মতো শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সদ্য সমাপ্ত হওয়া হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩ টাকা ১ পয়সা। আগের বছর লোকসান ছিল ৩ টাকা ৭৭ পয়সা।

ফাইন ফুড: ২০১৬ সাল থেকে শেয়ার প্রতি ১০ থেকে সর্বোচ্চ ২০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিটি এবার লোকসানে যাওয়ার পর নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটি ১১.৩ পয়সা লোকসান দিয়েছে। আগের বছর মুনাফা ছিল ১৮ পয়সা।

খান ব্রাদার্স: আগের বছর লোকসানে থাকার পরও নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা বিবিধ খাতের কোম্পানি খান ব্রাদার্স এবারও লোকসানের কারণে লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির লোকসান ছিল ৯ পয়সা। ওই বছর ২ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ২০ পয়সা লভ্যাংশ পেয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা।

ইয়াকিন পলিমার: মুনাফা থেকে লোকসানিতে পরিণত হওয়া এই কোম্পানিটি এবার লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটি গত বছরের জুলাই থেকে চলতি জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি লোকসান দিয়েছে ৫৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ পয়সা।

অলটেক্ম ইন্ডাস্ট্রিজ: লোকসানি এই কোম্পানিটি এবারও বিনিয়োগকারীদেরকে হতাশ করেছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ৮ পয়সা লোকসান দিয়েছে কোম্পানিটি। আগের বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ১০ টাকা ৩১ পয়সা।

আইএসএন: এই কোম্পানিটি বিপুল পরিমাণ লোকসান দেয়ার পর লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত জুন পর্যন্ত শেয়ার প্রতি কোম্পানিটি লোকসান দিয়েছে ৮ টাকা ৪৫ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ১৮ পয়সা।

আরামিট সিমেন্ট: ২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো মুনাফা করতে পারলেও এবারও বিনিয়োগকারীদেরকে লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিমেন্ট কোম্পানি অরামিট।

লভ্যাংশ না পেলেও শেয়ার প্রতি ৬০ পয়সা আয় করতে পারাটাই এই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে পেতে পারেন। এর আগে ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টানা চার বছর লোকসান দিয়েছিল কোম্পানিটি।

HTML tutorial

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here