পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ পাওয়ার পর ফের চুনাপাথর চিপ বা এগ্রিগেটসের বাণিজ্যিক উৎপাদন ও বিপণন শুরু করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।
এ চিঠি হাতে পাওয়ার পর পরই আইনি পদক্ষেপ নেয় কোম্পানিটি। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা। গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানির পর কোম্পানিটির এগ্রিগেটসের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন আদালত।
আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ফের এগ্রিগেটসের উৎপাদন ও বিপণন শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে কোম্পানিটি দাবি করে, এ ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে তারা কোনো আইন ভঙ্গ করেনি। তারা দেশের বিদ্যমান আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছে।
সুনামগঞ্জের ছাতকে অবস্থিত কোম্পানিটির ক্লিংকার ও সিমেন্ট উৎপাদন কারখানা প্রাঙ্গণেই এ চুনাপাথর চিপ ক্রাশিং ইউনিটটি স্থাপন করা হয়। ইউনিটটি বছরে ১২ লাখ টন কোণ আকৃতির চুনাপাথর চিপ উৎপাদন করতে সক্ষম।
ইউনিটটি স্থাপনে কোম্পানিটির নিজস্ব তহবিল থেকে ৪০ কোটি ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।
চলতি ২০২১ অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) ভালো ব্যবসা করেছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ। মূলত সিমেন্ট ও চুনাপাথর চিপের ব্যবসা থেকে ভালো আয় হওয়ার কারণে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে। সব মিলিয়ে আলোচ্য সময়ে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। আর তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে ২৬ শতাংশ।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে লাফার্জহোলসিমের বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে বিক্রি ছিল ১ হাজার ১৪২ কোটি টাকা। তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৩০৯ কোটি টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা হয়েছিল ১৫০ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৬৬ পয়সা।