পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) স্টক ব্রোকার ও ডিলার ডিপোজিটরি নিবন্ধন সনদ ইস্যু ও নবায়নের ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নিট
অর্থ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিবন্ধন সনদ নবায়নের অপেক্ষায় থাকা আটটি ব্রোকারেজ হাউজকে আগামী বছরের মধ্যে নিট অর্থের ঘাটতি পূরণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে ওই ঘাটতি পূরণে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠানগুলির সনদ বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সম্প্রতি এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বিএসইসি’র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বর্তমানে স্টক ব্রোকার ও ডিলারের ডিপোজিটরি নিবন্ধন সনদ ইস্যু এবং নবায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ সার্বক্ষণিক নিট অর্থ রাখতে হবে। ফলে, স্টক ব্রোকার ও ডিলারের পরিশোধিত মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ঘাটতি বা লোকসান থাকতে পারবে। এর বেশি হলে সেই ব্রোকার ও ডিলারের সনদ বাতিল করা হবে। এদিকে স্টক ব্রোকার ও ডিলার ব্যতীত অন্যান্য ডিপোজিটরির ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিষয়টি স্ব স্ব আইনে বা বিধিমালায় উল্লেখিত শর্ত অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘আগের নির্দেশনা অনুযায়ী স্টক ব্রোকার ও ডিলারের ডিপোজিটরি সনদ, নিবন্ধন সনদ ইস্যু এবং নবায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৬০ শতাংশ সার্বক্ষণিক নিট অর্থ থাকার বিষয়ে বলা ছিল। সেক্ষেত্রে একটি ব্রোকার ও ডিলার সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ঘাটতিতে বা লোকসানে থাকতে পারতো। কিন্তু বর্তমানে নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী সেটা ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এতে একটি ব্রোকার ও ডিলারের পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নিট অর্থ থাকতে হবে।
ব্রোকার ও ডিলারের ৭৫ শতাংশ নিট অর্থের ঘাটতি সমন্বয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগে যাদের ৬০ শতাংশ নিট অর্থ ছিল তাদেরকে নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ৭৫ শতাংশ পূরণ করতে হবে। সেই সঙ্গে ঘাটতি বা লোকসান ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।