পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গোল্ডেন হার্ভেস্টের ২০২০-২১ অর্থবছরে আর্থিক হিসাবে বিভিন্ন অনিয়ম খুজেঁ পেয়েছে নিরীক্ষক। এরমধ্যে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে না দেওয়া, আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস) লঙ্ঘন ও ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) নির্দেশনা অমান্য করার মতো ঘটনা রয়েছে। যাতে করে কোম্পানির ২০২০-২১ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে আপত্তিকর মন্তব্য (কোয়ালিফাইড অপিনিয়ন) করেছে নিরীক্ষক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) গত বছরের ২ মার্চের এক নির্দেশনায় শেয়ার মানি ডিপোজিটকে অফেরতযোগ্য ও ৬ মাসের মধ্যে শেয়ার ক্যাপিটালে রুপান্তর করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া শেয়ার মানি ডিপোজিটকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) গণনায় বিবেচনায় নিতে বলা হয়েছে। তবে গোল্ডেন হার্ভেষ্ট কর্তৃপক্ষ এফআরসির এই নির্দেশনা মানছে না বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
গোল্ডেন হার্ভেস্ট থেকে সাবসিডিয়ারি কোম্পানিতে শেয়ার মানি ডিপোজিট হিসেবে ৪.৮৪ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।
এই গোল্ডেন হার্ভেস্ট কর্তৃপক্ষ ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) হিসেবে ২.৩৪ কোটি টাকা সঞ্চিতি গঠন করেছে। কিন্তু ওই ফান্ড আইন অনুযায়ি পার্টিসিপেটরি ফান্ড, ওয়েলফেয়ার ফান্ড ও ওয়ার্কার্স ওয়েলফেয়াল ফাউন্ডেশন ফান্ডে ৮০:১০:১০ এই আনুপাতিক হারে বিতরন করেনি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।
এদিকে আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস)-৩৬ অনুযায়ি, কোম্পানির স্থায়ী সম্পদ ইমপেয়ারম্যান্ট টেস্ট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর মাধ্যমে আর্থিক হিসাবে দেখানো সম্পদের প্রকৃত বাজার মূল্য মূল্যায়ন করতে হয়। যদি কম হয়ে যায়, তাহলে আর্থিক হিসাবে ইমপেয়ারম্যান্ট লস হিসাবে দেখাতে হয়। কিন্তু গোল্ডেন হার্ভেস্ট কর্তৃপক্ষ ইমপেয়ারম্যান্ট টেস্ট না করে আইএএস ৩৬ এর লঙ্ঘন করছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া গোল্ডেন হার্ভেস্টের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২১৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এরমধ্যে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৭.১২ শতাংশ। কোম্পানিটির শনিবার (২৭ নভেম্বর) শেয়ার দর দাড়িঁয়েছে ১৬.৭০ টাকায়।