বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, বিনিয়োগকারীরা কে কোন সিকিউরিটিজ কিনেন, সেটা আমরা দেখি না বা কারও পোর্টফোলিও আমরা ম্যানেজ করি না। অথচ বিনিয়োগকারীরা লোকসান করলেই আমাদেরকে দোষারোপ করেন। কিন্তু লাভ করলে আর কিছু বলেন না।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেট বাজারের উর্ধ্বমূখী অবস্থায় বিক্রি করেন এবং নিম্নমূখী অবস্থায় ক্রয় করেন। এটাই উচিত। কিন্তু আমাদের দেশের বিনিয়োগকারীরা উল্টো আচরণ করেন।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের সূচক বাড়ার পরে কিছুটা কমতে পারে। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের বিনিয়োগকারীরা অল্পতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পড়তি বাজারে যেখানে কেনার কথা, সেখানে তারা বিক্রি করেন। তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, বাজার শীঘ্রই ঠিক হয়ে যাবে।
বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, আমরা কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করি। এখানে ২০১০ সালের পূণরাবৃত্তি হওয়ার সুযোগ নেই। এটা বিনিয়োগকারীদের মাথায় রাখতে হবে।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) ‘এসএমই খাতের উন্নয়নে পুঁজিবাজারের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বাণিজ্য প্রতিদিন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, স্বচ্চতা ও জবাবদিহিতার জন্য আমরা তালিকাভুক্ত কোম্পানির বিশেষ নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছি। কিন্তু সেখানে কোম্পানির এমন সব তথ্য উঠে আসছে, যা দেখে নিজেরাই ভয় পেয়ে যাই।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন অসংখ্য কোম্পানির সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে বসি। এক্ষেত্রে কোম্পানি কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা বা মনোভাব দেখার চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবে কোম্পানির টাকা পাচার ও অনেক কোম্পানির আবার সত্যিই ব্যবসা খারাপ হওয়ার মতো ঘটনা দেখতে পাই। এক্ষেত্রে যে কোম্পানির জন্য যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, তাই নেই।
শিবলী রুবাইয়াত বলেন, দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের গুরুত্ব অনেক। আমরা এই খাত এগিয়ে নিতে কাজ করছি। এখন পুঁজিবাজার থেকে এসএমই খাতের কোম্পানিগুলো অর্থ সংগ্রহ করতে পারে। এক্ষেত্রে মূল মার্কেটের তুলনায় অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও সুবিধা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আজকে বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমানসহ অনেকে এসএমই খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। কমিশন তা গুরুত্বসহকারে দেখবে। তবে এক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি পক্ষের দাবির আলোকে তা বাস্তবায়ন করা ঠিক হবে। অপরপক্ষের বক্তব্যও শুনতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিএমবিএ সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারে এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেনে গতি ফেরাতে, ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ আছে এমন বিনিয়োগকারীদেরকে লেনদেনের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন। অন্যথায় এখাতে লেনদেনে গতি ফেরবে না। একইসঙ্গে এই খাতের উন্নয়নে প্রথম ২ বছর কোম্পানিগুলোকে লভ্যাংশ প্রদানের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম, ডিএসইর পরিচালক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মাসুদুর রহমান, ডিএসইর এমডি তারিক আমিন ভূইয়া, সিএমজেএফ প্রেসিডেন্ট হাসান ইমাম রুবেল অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
EPGL, LRBD, Naheecap এগুলো ১০% ক্যাশ ঘোষণা দেওয়ার পর ১২/১৩ টাকা করে কমে গেছে। এগুলোর ইপিএসও মোটামুটি ভাল। ১টাকা লাভ করতে গিয়ে ১২ টাকা শেয়ার প্রতি লস হলে ব্যবসা কীভাবে হবে?