চাঁদপুর পাওয়ার জেনারেশনস লিমিটেডের (সিপিজিএল) বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত বিদ্যুৎ কিনবে সরকার। প্রতি বছর কেন্দ্রটি থেকে আনুমানিক ১ হাজার ১০২ কোটি ২২ লাখ টাকা আয় হবে বলে জানিয়েছেন ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মাসুদুর রহমান ভুঁইয়া।
বুধবার ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি বলেন, ফার্নেস তেলে পরিচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে অনুমোদন দেয় বিদ্যুৎ ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটি। নির্মাণের পর ১৫ বছর পর্যন্ত এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনবে সরকার।
চাঁদপুরের ১১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরকার বিদ্যুৎ নেবে ৭ টাকা ৯২ পয়সায় বলে জানান মাসুদুর রহমান ভুঁইয়ান। চাঁদপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা করছে ডরিন পাওয়ার ও ডরিন পাওয়ার হাউজ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসইটে ১৪ ফেব্রুয়ারি তথ্য প্রকাশ করে, চাঁদপুর পাওয়ার জেনারেশনস লিমিটেডের চাঁদপুরের বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ৯৯ দশমিক ৯০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমসের কাছে। ১১৫ মেগাওয়াট সক্ষমতার এইচএফওভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে।
ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান চাঁদপুর পাওয়ার জেনারেশনস লিমিটেড (সিপিজিএল)।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) স্বাক্ষর করা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) শর্তানুসারে ১১ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) থেকে বাণিজ্যিভাবে উৎপাদনের অনুমোদন দিয়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি (রোববার) কোম্পানির পক্ষ থেকে বিপিডিবিকে জানানো হয়েছে।
জ্বালানি খাতে ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ১৬১ কোটি ৭১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
রিজার্ভে ৫০১ কোটি ৯ লাখ টাকা এবং মোট শেয়ার রয়েছে ১৬ কোটি ১৭ লাখ ১৩ হাজার ৩০৫টি। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৬৬ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
তবে বিগত বছরগুলোর তুলনায় কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে অনেক বেশি। ২০২০ সালে কোম্পানির কর পরবর্তী মুনাফা ছিল ৭৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১১৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯ হাজার টাকা।
২০২১ সালের ২৫ শতাংশ (নগদ ১৩ এবং বোনাস ১২ শতাংশ) লভ্যাংশ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানটির নতুন করে আরো আনুমানিক ১ হাজার ১০২ কোটি ২২ লাখ টাকা আয় বাড়বে। এতে কোম্পানির আর্থিক সক্ষমতা আরো বাড়ায় শেয়ারপ্রতি দর বাড়ার সম্ভাবনা এবং মুনাফা বা লভ্যাংশ প্রদানের হার বাড়তে পারে।
ডিএসইতে বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দর ছিল ৭৫ টাকা এবং গত এক বছরের মধ্যে ৬ অক্টোবর কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সর্বোচ্চ দর ছিল ৯৩ টাকা।
ট্রেডার বাংলাদেশ, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২