এক মাসের ব্যবধানে পুরোপুরি শেয়ার শূন্য হয়েছে ১২ হাজার বিও অ্যাকাউন্ট । অর্থাৎ এসব অ্যাকাউন্টধারী বিনিয়োগকারী তাঁদের সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এর মধ্যে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহেই ১০ হাজারের বেশি বিও অ্যাকাউন্ট খালি হয়েছে। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, এক মাস আগে গত ১০ নভেম্বর সক্রিয় বিও অ্যাকাউন্ট ছিল ১৮ লাখ ৫৫ হাজার ৯৯৩টি। এর মধ্যে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ১৯৭টি অ্যাকাউন্টে একটিও শেয়ার ছিল না। এক মাস ব্যবধানে গত রোববার বিও অ্যাকাউন্ট সংখ্যা বেড়ে ১৮ লাখ ৫৯ হাজার ১৬টিতে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ বিও অ্যাকাউন্ট বেড়েছে তিন হাজার ২৩টি।
কিন্তু একই সময়ে অর্থাৎ ১৩ নভেম্বর থেকে গত রোববার পর্যন্ত পুরোপুরি খালি হওয়া বিও অ্যাকাউন্ট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩৭টিতে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ এ সময়ে ১২ হাজার ১৪০টি বিও অ্যাকাউন্ট শেয়ার শূন্য হয়েছে। যদি ধরা হয়, এ সময়ে খোলা নতুন ৩ হাজার বিও অ্যাকাউন্টে কোনো শেয়ার কেনা হয়নি, তার পরও পুরোনো অন্তত ৯ হাজার বিও অ্যাকাউন্ট থেকে বিনিয়োগকারীরা সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন।
সিডিবিএল সূত্রে আরও জানা গেছে, মোট বিও অ্যাকাউন্ট ১৮ লাখ ৫৯ হাজার হলেও গত রোববার দিন শেষে কমপক্ষে একটি শেয়ার ছিল, এমন বিও অ্যাকাউন্ট ছিল ১৪ লাখ ১৪ হাজার ৭৪৫টি। গত ২২ নভেম্বরও এ সংখ্যা সোয়া ১৪ লাখের বেশি ছিল।
গত এক মাসের হিসাবে শেয়ার থাকা বিও অ্যাকাউন্ট সংখ্যা কমলেও ফ্লোর প্রাইস আরোপের পর গত সাড়ে চার মাসের হিসাবে কিছুটা ভিন্ন চিত্র আছে। গত ৩১ জুলাই মোট বিও অ্যাকাউন্ট ছিল ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮৮৪টি। একই দিনে খালি বিও অ্যাকাউন্ট ছিল ৩ লাখ ৪৯ হাজার ১৭১টি।
ট্রেডার বাংলাদেশ, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২