পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে লেনদেন কম হওয়া নিয়ে হতাশা বিরাজ করছে। এই লেনদেন কম হওয়ার কারনে বাজার নিয়েই বিনিয়োগকারীদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। কারন বাজার মন্দার ক্ষেত্রেও লেনদেন বেশি হলে, যেকোন সময় ঘুরে তা দাঁড়ানোর আশা থাকে। যেটা অনেকদিন ছিল না। তবে গত সপ্তাহে (০৮-১২ জানুয়ারি) দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেনে বড় উন্নতি হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের এই অংশগ্রহন বৃদ্ধি বাজারের জন্য খুবই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২ হাজার ১২১ কোটি ৪১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের সপ্তাহে হয়েছিল ১ হাজার ১৩২ কোটি ৯৭ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেনে ৯৮৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বা ৮৭% বেড়েছে।
শেয়ারবাজারে লেনদেনের ন্যায় মূল্যসূচকেও উন্নতি হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২১ পয়েন্ট বা ০.৩৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২১৫ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট বা ০.৩২ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বা ০.২৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩৫৮ পয়েন্টে এবং ২১৯৯ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬০ হাজার ৬০৮ কোটি ৮২ লাখ টাকায়। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬৯২ কোটি ৩ লাখ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ৫ হাজার ৯১৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা কমেছে।
এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৬২টির বা ১৬.৩২ শতাংশের, কমেছে ১০৮টির বা ২৮.৪২ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১০টির বা ৫৫.২৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।
ট্রেডার বাংলাদেশ, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩